ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় করোনা প্রতিরোধ: জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে অভিযান, সরকারের নির্দেশনা না মানায় ১১হাজার টাকা জরিমানা

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতি:রোধকল্পে সারা দেশের ন্যায় চকরিয়া উপজেলার ১৮ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। এরই আলোকে মাঠ পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সার্বিক তত্বাবধানে  বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা একযোগে কাজ করছে।

রবিবার (৫এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত  উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তানভীর হোসেন নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করার দায়ে বিভিন্ন অপরাধে ১১হাজার ৩০০টাকা জরিমানা আদায় করেন।

জানাগেছে, রবিবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার উপকূলীয় ডেমুশিয়া, বদরখালী ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লায়, হাট-বাজার এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম এবং জনসমাগম না করার জন্য শহরে-গ্রামীণ জনপদের মানুষজনকে সামাজিক বিচ্ছিন্নতায় উদ্বুদ্ধকরণ করা হয়। এ সময় করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশ না মেনে প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে অহেতুক ঘোরাফেরা করা, সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে সচেতন না হওয়া, সামাজিক দূরুত্ব বজায় না রাখা, নিয়মের বাইরে দোকান খোলা রাখাসহ বেশ কিছু অনিয়মের কারণে সেনা বাহিনী ও পুলিশ নিয়ে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তানভীর হোসেন।  অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, সেনাবাহিনীর অফিসারবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মো: জয়নাল আবেদীন, চকরিয়া থানার এএসআই লক্ষ্মণ দাশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: তানভীর হোসেন বলেন, উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের স্টেশন ও বাজার এলাকায়  জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম এবং দোকানপাঠ, বাজার ও খেলার মাঠে জনসমাগম না করার জন্য প্রশাসনের পক্ষথেকে সব শ্রেণী পেশার মানুষজনকে উদ্বুদ্ধকরণ করা হয়। তাছাড়া প্রয়োজন ছাড়া সকলকে ঘরের বাইরে বের না হতে বলা হয় এবং মাঠে ছেলেদের একসাথে খেলতে নিষেধ করা হয়৷

তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশ না মেনে চলার দায়, সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখা, নিয়মের বাহিরে দোকান খোলা রাখা ও নানা অপরাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় ৭টি মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও দোকানকে ১১হাজার ৩শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও সাহারবিলের কোরালখালী খালে অবৈধ বসানো সেলোমেশিন স্থানীয় যুবকদের সহায়তায় ভেঙ্গে দেওয়া বলে তিনি জানান। #

এম.মনছুর আলম

পাঠকের মতামত: